Vaccines for Children: Your Questions Answered

Vaccines for Children

The last week of April (24th to 30th) is observed as the World Immunization Week every year. The focus is on informing individuals about the use of vaccines and the role they play in fighting against diseases at different ages. So, we chose this week to answer these 10 frequently asked questions about vaccination.

What is vaccination?

Vaccination is a simple, safe, and effective way of protecting ourselves against harmful diseases. It uses our body’s natural defenses to build resistance to specific infections, making our immune system stronger.

Vaccines train the immune system to produce antibodies just as it does when exposed to a particular disease. However, vaccines only contain weakened or killed forms of germs like bacteria or virus so, they do not cause the disease or put you at risk of its complications.

Most vaccines are injected but some are sprayed into the nose or administered orally.

Why Vaccinate?

On-time vaccination throughout childhood is essential because it boosts immunity before children are exposed to life-threatening diseases. Vaccines are thoroughly tested to ensure that they are safe and effective for children at the recommended ages.

How does a vaccine work?

Vaccines reduce the risks of getting a disease by working with the body’s natural defenses to build protection. Thus, after you get vaccinated, your immune system starts responding by:

  • Recognizing the invading germs, such as virus or bacteria
  • Producing antibodies

(Antibodies are proteins naturally produced by our immune system to fight diseases.)

  • Remembering the disease and how to fight against it. If you are exposed to the germ again in the future, your immune system becomes capable of quickly destroying it before you fall ill

The vaccine is, therefore, a safer way of building an immune response in our bodies without causing illness.

Once exposed to one or more doses of a vaccine, we tend to remain protected against a disease for years, decades, or even a lifetime. This is what makes vaccines so effective. Rather than treating diseases after those occur, vaccines prevent us from falling ill in the first instance.

What is in a vaccine?

All the ingredients of a vaccine play an important role in ensuring a vaccine is safe and effective. Some of these include:

  • The antigen – a killed or weakened form of a virus or bacteria that trains our bodies to recognize and fight diseases if we encounter those in the future
  • Adjuvants that help boost immune responses
  • Preservatives to ensure that a vaccine stays effective for the desired period
  • Stabilizers that protect vaccines during storage and transportation

Vaccine ingredients may look unfamiliar when listed on the labels. Many of the components used occur in the environment, in our bodies, and in the food we eat. All the ingredients in vaccines – as well as the vaccines themselves – are thoroughly tested and monitored to ensure they are safe.

Why should I get my child vaccinated?

Without vaccines, we are at risk of serious illness and disabilities from diseases, such as meningitis, pneumonia, and tetanus. Many of these diseases can be life-threatening. WHO estimates that vaccines save about 3 million lives annually.

Although some diseases may have become uncommon, the germs causing them continue to circulate in all or some parts of the world. In today’s world, infectious diseases can easily cross borders, and infect anyone who is not protected.

Two key reasons to get vaccinated are as follows:

  • To protect ourselves and
  • To protect those around

Because not everyone can be vaccinated – including infants, particularly those who suffer from certain allergies or are seriously ill – depend on others around them being vaccinated to ensure they are safe from vaccine-preventable diseases.

What are the diseases vaccines can prevent?

Parents can protect their children from these 14 vaccine-preventable diseases before they are two years old:

  1. Diphtheria
  2. Hemophilus influenzae type b (Hib)
  3. Hepatitis A
  4. Hepatitis B
  5. Influenza (flu)
  6. Measles
  7. Mumps
  8. Pertussis (Whooping cough)
  9. Pneumococcal disease
  10. Polio
  11. Rubella (German measles)
  12. Tetanus (lockjaw)
  13. Rotavirus
  14. Varicella (chickenpox)

When should I vaccinate my child?

Vaccines protect us throughout life – from birth to childhood, as teenagers and into old age. Most countries provide their citizens with a vaccination card, mentioning the vaccines you/your child have had and when the next vaccines are due. It is essential to ensure that these vaccines are up to date.

Delaying vaccination increases the risks of falling sick. If we wait until we think we may be exposed to a serious illness – for instance, during a pandemic outbreak – there may not be enough time for the vaccine to work or receive the recommended doses.

Are there side effects from vaccines?

Like medicines, vaccines too may cause mild side effects, such as a low-grade fever, redness, or pain at the injection site. Mild reactions usually go away on their own within a few days. Severe, long-lasting side effects are rare. Vaccines are continually monitored to detect rare adverse events.

Can a child be given more than one vaccine at a time?

Studies show that administering several vaccines at the same time usually has no negative effect. Children are exposed to several foreign substances that trigger an immune response daily. The simple act of eating introduces new germs into a child’s body and numerous bacteria live in the mouth and nose.  Administering a combined vaccination (e.g. for pertussis, tetanus, and diphtheria) indicates fewer injections and reduced discomfort for the child.

I still have questions about vaccination. What should I do?

If you still have questions about vaccines, talk to your healthcare worker. He/she can provide you with evidence-based advice about vaccination for you and your children, including the recommended vaccination schedule prevalent in your country.

When looking online for information regarding vaccination, consult reliable sources. WHO has reviewed and certified several websites that provide information based on trustworthy scientific evidence and independent reviews by experts. All these websites are members of the Vaccine Safety Net.

Sources:

  • WHO
  • CDC
  • UNICEF

Myths about Vaccination & Immunization Busted!

Vaccines are one of the greatest inventions of mankind – yet there is a lot of misinformation regarding the same. Here are the facts behind some common vaccine myths.

Read more in Bengali

প্রাণঘাতী রোগ প্রতিরোধের একটাই উপায়। আর সেটা হল- টিকা। মানে সঠিক সময়ে সঠিক টিকা নেওয়া।

ভাইরাস অথবা ব্যাকটিরিয়ার মাধ্যমে যে সব প্রাণঘাতী রোগ ছড়িয়ে পড়ে, সেই রোগের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি অথবা ইমিউনিটি বাড়িয়ে তুলে একটা সুরক্ষা কবচ তৈরি করে টিকা। তাই বাচ্চার জন্মের পর টিকাকরণের উপর জোর দেওয়া হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সব শিশুর টিকাকরণ হয় না। আর সেটা শুধুমাত্র অভিভাবকের অজ্ঞতার কারণে।
অনেকেই মনে করেন, টিকা ক্ষতিকর এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সন্তানের জীবনহানিও হতে পারে। সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। হাম, ডিপথেরিয়া, পোলিও, রুবেলা, মাম্পস এই ধরনের রোগের টিকা এখনও অনেকেই নিতে চায় না। কিন্তু এই সব রোগ প্রতিরোধকারী টিকা নিয়ে নিলেই কিন্তু নিশ্চিন্ত।

এটা শুধু আপনার সন্তানকে নয়, পরের প্রজন্মকেও সুরক্ষিত রাখবে। কারণ ব্যাপক হারে টিকাকরণ হলে কিন্তু রোগ ছড়াতে তো পারেই না, এমনকী রোগ বিলুপ্তও হয়। এই যেমন- জলবসন্ত। এখন কি কাউকে জলবসন্তের মতো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়? একেবারেই না। কারণ টিকাকরণ সঠিক ভাবে হওয়ার দরুন এই রোগ মুছে গিয়েছে। ফলে বুঝতেই পারছেন, টিকা কতটা জরুরি আপনার সন্তানের জন্য। তাই এর সঙ্গে জেনে নিন, টিকা সম্পর্কে আপনার ভুল ধারণাগুলি। আর সত্যিটাও!

টিকা সংক্রান্ত কয়েকটি তত্ত্ব এবং তথ্য:

তত্ত্ব- হাম, মাম্পস, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস প্রভৃতি রোগ একেবারেই গুরুতর নয়।

তথ্য- উপরের প্রতিটি রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা নেওয়া। কারণ এই রোগগুলি খুবই গুরুতর। তার থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, হাম, হুপিং কাশি, মাম্পস, টিটেনাসের মতো রোগ কিন্তু এখনও ছড়ায়।

তত্ত্ব হাম, মাম্পস, ডিপথেরিয়ার মতো রোগ আর ছড়ায় না, তাই আমার বাচ্চার আর টিকার দরকার নেই।

তথ্য এই সব রোগ এখন বিরল। কিন্তু এই রোগ এখনও ছড়ায়। আর টিকাকরণের হার যে-ই কমবে, তখনই কিন্তু এই রোগ ব্যাপক হারে ছড়াতে শুরু করবে। এতে কিন্তু ক্ষতির মুখে পড়বে আপনার পরের প্রজন্মও।

তত্ত্ব অন্যরা তো টিকা নিচ্ছেই, আমার বাচ্চাকে আর টিকা দেওয়ার দরকার নেই।

তথ্য আপনার বাচ্চারও টিকার প্রয়োজন। মানে প্রত্যেকের জন্যই টিকা অত্যন্ত জরুরি। ধরে নিন, অনেকেই আপনার মতো গা-ছাড়া মনোভাব নিচ্ছেন। তার ফলে কম সংখ্যক শিশুরই টিকাকরণ হবে। আর তাতে কিন্তু রোগ সংক্রমণ অতি দ্রুত ছড়াবে।

তত্ত্ব আমার বাচ্চা তো স্তন্যপানের উপর আছে, তাই ওর কোনও সংক্রমণের সম্ভাবনাই নেই।

তথ্য স্তন্যপান কিন্তু কোনও টিকার পরিপূরক নয়। স্তন্যপান নির্দিষ্ট কিছু সংক্রমণ থেকে আপনার সন্তানকে বাঁচাতে পারে। তবে খুব সীমিত সংখ্যক সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাবে স্তনদুগ্ধ। তাই স্তন্যপান করলে আর টিকার দরকার নেই, এই ধারণা পুরোপুরি ভুল।

তত্ত্ব এমএমআর ভ্যাকসিন থেকে অটিজম হয়।

তথ্য একদমই না। এই দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বহু বড় বড় গবেষণায় এই ভ্যাকসিন আর অটিজমের কোনও যোগসূত্র মেলেনি।

তত্ত্ব টিকায় থাকা থাইমেরোসালের জন্য অটিজম হয়।

তথ্য অটিজম বা অন্য ডিজঅর্ডারের সঙ্গে থাইমেরোসালের যোগসূত্র আছে, এমন প্রমাণ এখনও মেলেনি। বহু বিজ্ঞানীই এই নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন বহু দিন ধরে। কিন্তু কোনও যোগসূত্রই তাঁরা খুঁজে বার করতে পারেননি। তবে আর একটা বিষয় হল, বহু বছর ধরেই শিশুদের টিকায় আর থাইমেরোসালের ব্যবহার হয় না।

তত্ত্ব শরীরের জন্য প্রাকৃতিক উপাদানই সব চেয়ে ভাল। আলাদা করে কোনও টিকার দরকার নেই।

তথ্যসব ক্ষেত্রে তা ঠিক নয়। যে সব ক্ষতিকর জীবাণুকে রুখতে টিকাকরণ হয়, সেই সব জীবাণু কিন্তু প্রকৃতিরই অংশ। আর এটাও জেনে রাখুন, টিকাও কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদান থেকেই তৈরি হয়।

তত্ত্ব টিকা কতটা নিরাপদ তা যথেষ্ট ভাবে পরীক্ষা করা হয় না।

তথ্যটিকা পুরোপুরি ভাবে নিরাপদ। অন্যান্য ওষুধের মতোই অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই টিকা ব্যবহার করা হয়। সেই সঙ্গে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কি না, সেই দিকেও নজর রাখা হয়।

Vaccination: A Gift for a Lifetime

Nothing concerns you more than the safety of your child – and getting them vaccinated on time will help in protecting her or him against various diseases.

Read more in Bengali

Five important topic for tika

সন্তানের জন্মের পর সব মা-বাবাই লক্ষ করবেন যে, ডাক্তারবাবু একগাদা টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু মা-বাবাদের মনে হতেই পারে যে এত টিকার দরকারটা কোথায়? শুধু শুধু  এত টিকা নিয়ে বাচ্চার লাভটাই বা কী হবে? তার থেকে বরং কিছু টিকা বাদ দিলেও ক্ষতি নেই!

প্রথমেই এই প্রসঙ্গে বলে রাখি যে, আপনার বাচ্চার জন্মের পর ডাক্তারবাবু যে টিকাগুলো নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, তা অত্যন্ত জরুরি এবং অপরিহার্য। যাতে বাচ্চা রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকে। আর রোগ সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়তে পারে। কিন্তু সমস্যাটা এখানেই! বেশির ভাগ অভিভাবকেরই এই বিষয়ে একটা গা-ছাড়া মনোভাব দেখা যায়। আর এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যানটা জানলে অবাকই হতে হয়! প্রতি ৫ জন শিশুর মধ্যে ১ জনের টিকাকরণ হয় না। আর প্রতি বছর ডিপথেরিয়া, হাম, টিটেনাসের মতো রোগে প্রায় ১৫ লক্ষ শিশু মারা যায়। শুধু তা-ই নয়, হেপাটাইটিসের মতো রোগ থেকে সুরক্ষিত নয় লক্ষ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্কও!

ফলে বুঝতেই পারছেন, নিজের সন্তানের স্বার্থে টিকাকরণ কতটা জরুরি। প্রত্যেক মা-ই চায়, নিজের সন্তানকে সুস্থ ও সুন্দর একটা জীবন দিতে। সন্তান যাতে সব থেকে ভালটা পায়, সে দিকেই সব সময় বাবা-মায়ের কড়া নজর। তাই সন্তানকে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে রোগ থেকে সুরক্ষিত করবেন সবার আগে। এ ভাবেই তাকে তার জীবনের সব থেকে বড় উপহারটা আপনিই দিতে পারবেন!
আর এর জন্য দরকার সঠিক সময়ে সঠিক টিকাকরণ। জেনে নিন, টিকাকরণ আপনার সন্তানের জন্য অপরিহার্য কেন?

টিকাকরণ আপনার সন্তানের সুরক্ষা কবচ:

আগে বহু রোগের কোনও ওষুধ অথবা টিকা ছিল না। ফলে সেই সব রোগ বহু শিশুর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু আমরা সে দিক থেকে বেশ ভাগ্যবান! কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞান আগের থেকে অনেক উন্নত। ফলে আগে যে সব রোগে মানুষ মারা যেত, সেই সব ভয়াবহ রোগ থেকে আমরা পুরোপুরি সুরক্ষিত। আর তার মূল কারণটাই হল সেই রোগের সঠিক টিকা আবিষ্কার। যেমন, আগে পোলিও রোগ একটা বড় সমস্যার কারণ থাকলেও এখন সঠিক টিকাকরণ হলে কিন্তু শিশুকে পোলিও রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখা যায়।

টিকা নিরাপদ কার্যকরী:

গবেষক, বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তারদের বারংবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই টিকা বাজারে ছাড়া হয়। এমনকী প্রয়োগের পরে এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কি না, সেই বিষয়েও নজর রাখা হয়। এত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই ব্যবহারের জন্য ছাড়া পায় টিকা। বাচ্চাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় ব্যথা হতে পারে। ইঞ্জেকশন ফোটানো জায়গাটি লাল হয়ে ফুলে যেতেও পারে। তবে এই ভ্যাকসিনগুলি যে সব রোগ প্রতিরোধ করে, সেই সব রোগের জ্বালা যন্ত্রণার তুলনায় কিন্তু টিকা নেওয়ার যন্ত্রণা অনেকটাই কম। আর টিকাকরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও খুবই বিরল।

টিকাকরণ আপনার সময় টাকা বাঁচাবে:

টিকাকরণে প্রতিরোধ করা যায়, এমন রোগ হলে তার স্কুল তো কামাই হবেই। আর তাকে নিয়ে ছোটাছুটি করতে আপনারও কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এমনকী এই ধরনের রোগ দীর্ঘস্থায়ীও হয়। সে ক্ষেত্রে আর্থিক দিকটা নিয়েও ভাবনা-চিন্তা করতে হয়। তাই আমরা যেমন টাকা-পয়সা অনেক ভেবে-চিন্তে বিনিয়োগ করে থাকি, টিকাকরণের ক্ষেত্রেও ঠিক সে রকমই। নিজের এবং সন্তানের জন্য না-হয় টিকাকরণেই বিনিয়োগ করবেন।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাবে টিকাকরণই:

এই যেমন আমাদের কয়েক প্রজন্ম আগেও যে রোগগুলিতে শিশুরা মারা যেত অথবা বিকলাঙ্গ হয়ে যেত, সেই সব রোগগুলিকে টিকার মাধ্যমে একেবারেই কমিয়ে ফেলা হয়েছে। এমনকী সারা বিশ্বেই কিছু কিছু রোগ তো এই টিকার জন্য বিলুপ্ত হয়েছে। যেমন জলবসন্তের কথাই ধরা যাক। এখন কি কোনও শিশু জলবসন্তে আক্রান্ত হয়? একেবারেই নয়। কারণ সারা বিশ্ব থেকেই এই রোগ একেবারেই মুছে গিয়েছে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে টিকাকরণের জন্যই। আবার ধরা যাক রুবেলা রোগের কথাই। গর্ভবতী মায়ের থেকেই ভ্রূণে অথবা সদ্যোজাত শিশুর মধ্যে এই রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। আর টিকাকরণের মাধ্যমেই সেই ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে গিয়েছে। এখন থেকেই অভিভাবকেরা যদি ব্যাপক হারে সঠিক টিকাকরণ শুরু করেন, তা হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কিন্তু সুরক্ষিত থাকবে।

আপনার প্রিয়জনের জন্যও টিকাকরণ জরুরি:

অনেক ক্ষেত্রে একেবারে ছোট শিশুরাও ভ্যাকসিনের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়, এমন রোগে আক্রান্ত হয়। মানে টিকাকরণের উপযুক্ত বয়স হয়নি তাদের। আবার অনেকের  মারাত্মক অ্যালার্জি, লিউকেমিয়ার মতো রোগ থাকলে তাদের টিকাকরণ সম্ভব না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের নিরাপদে রাখার দায়িত্বও কিন্তু আপনার। কী ভাবে? আপনার ও আপনার সন্তানের টিকা নেওয়া রয়েছে। ফলে আপনাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ভাল। তাই ওই ধরনের রোগ আপনাদের থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না। এতে আপনার পরিবার ও প্রিয়জনরাও সুরক্ষিত থাকবে।

এ বার আসি আমাদের বর্তমান পরিস্থিতির কথায়। আমরা কোভিড ১৯-এর মতো মহামারির সঙ্গে লড়াই করে চলেছি। স্বাভাবিক জনজীবনও ব্যাহত। আমরা কেউই জানি না যে, কবে ছন্দে ফিরব আমরা। আর এই মহামারির কোনও ওষুধই আবিষ্কার করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। তার জন্য পরিশ্রম করে চলেছেন গবেষকেরা। আর এর টিকা বেরোতেও যথেষ্ট সময় লাগবে বলেই মত গবেষকদের। তাই যত ক্ষণ না এই করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কৃত হচ্ছে, তত দিন কিন্তু আমাদের ইমিউনিটি বুস্টিং বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কথা মাথায় রাখতে হবে। না হলে কিন্তু এই ভাইরাসের সঙ্গে যুঝতে পারব না। আর শিশুদের ক্ষেত্রেও এই দিকটা নজরে রাখতে হবে। কারণ দেখা যায়, আজকাল বহু শিশুরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।

আসলে এখন ফার্স্ট লাইফের যুগ। আর তার জাঁতাকলে পড়ে পিষছে শিশুরাও। আগেকার দিনের মতো খেলাধূলা বা বিকেলে বাইরে ঘুরতে বেরোনো প্রায় হয়ই না তাদের। বাড়িতে চার দেওয়ালের মধ্যেই ভিডিও গেম অথবা কম্পিউটার গেম, কার্টুনেই মজে থাকে আজকালকার বাচ্চারা। শরীরচর্চা সে ভাবে হয় না। তার পর পড়ার চাপ, নাচ-গান-ক্যারাটে-আঁকা শেখার চাপতো আছেই। ফলে মনের উপর চাপ বোঝার মতো বাড়তে থাকে খুব ছোট বয়স থেকেই। আর এগুলোরই প্রভাব ফেলে ওদের ইমিউনিটিতে। আসলে সন্তানকে বেস্ট লাইফস্টাইল দিতে গিয়ে আমরা মা-বাবারাই কিন্তু তাদের জীবনে বিপদ ডেকে আনছি অজান্তেই। তাই বাচ্চাদের জন্য সঠিক টিকাকরণের সঙ্গে সঙ্গে ইমিউনিটি বুস্টিংও অত্যন্ত জরুরি।

Tips on How to Make Face Masks at Home!

Home-made masks can be just as effective in preventing the spread of coronavirus. Here is how you can prepare masks out of the fabric by yourself.

Read more in Bengali

নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯)-এর থাবায় কার্যত বিধ্বস্ত গোটা বিশ্বই। থমকে গিয়েছে স্বাভাবিক জনজীবনও। ইতিমধ্যে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়েছে। আর লকডাউন তো চলছেই। এই পরিস্থিতিতে এমনিতেই বাইরে বেরোলে রীতিমতো ধরপাকড়ের মুখে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা প্রয়োজনে বাইরে বেরোচ্ছেন, তাঁদের জন্যও প্রচুর বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে মাস্ক পরার বিষয়টা নিয়ে একটা সংশয় ছিল। এ বার সেটাই স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, বাইরে গেলে সকলকেই মাস্ক পরতেই হবে। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যাঁরা বাস করেন, তাঁরা বাইরে বেরোলে মাস্ক পরতেই হবে বলে জোর দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

শুধু তা-ই নয়, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, ওড়িশার মতো রাজ্যে মাস্ক পরার উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে জানানো হয়েছিল, বাইরে মাস্ক ছাড়া কাউকে দেখা গেলে তাঁকে শাস্তির মুখেও পড়তে হবে। এ বার সেই পথে হাঁটল আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গও। রবিবার এক নির্দেশিকায় নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, রাস্তায় বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। আর না পরলে শাস্তি পেতে হবে। করোনা সংক্রমণ রুখতে রাস্তায় বেরোলে নাক-মুখ ঢাকতে হবে। মাস্ক না থাকলে বড় রুমাল বা ওড়না ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

কিন্তু আপনার নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে যে, এখন মাস্ক কোথায় পাবেন। সব ওষুধের দোকানেই প্রায় আউট অফ স্টক। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ঘরে তৈরি মাস্ক হলেও চলবে। জেনে নিন, মাস্কের বিষয়ে নয়া নির্দেশিকা আর বাড়িতে কী ভাবে মাস্ক বানাবেন।

পুরনো নির্দেশিকায় যা বলা হয়েছিল:

  • যাঁরা কোভিড ১৯ এবং কোনও রকম সংক্রমণ (জ্বর, সর্দি, কাশি)-এ আক্রান্ত, তাঁরা মাস্ক পরবেন।
  • মাস্ক ব্যবহার করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
  • সুস্থ মানুষের মাস্ক ব্যবহারের কোনও প্রয়োজন নেই।

যে হেতু আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাই তড়িঘড়ি নির্দেশিকায় বদল এনেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যাতে গোষ্ঠী সংক্রমণ বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন এড়ানো যায়। অথচ মাস্ক বাজারে সে ভাবে মিলছে না, আর মিললেও দাম প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। তাই ঘরে তৈরি কাপড়ের মাস্কই ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কী বলছে নয়া নির্দেশিকা?

  • এ বার থেকে বাইরে বেরোলেই মাস্ক পরা মাস্ট।
  • সার্জিক্যাল মাস্ক না হলেও চলবে, ঘরে তৈরি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কারণ কাপড়ের মাস্ক আরামদায়কও বটে।
  • পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাস্ক পরলেও চলবে। অর্থাৎ এমন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, যা প্রতি বার ব্যবহারের পরেই ভাল করে কেচে রোদে শুকিয়ে নেওয়া যাবে।
  • পরিবারের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা মাস্ক। অর্থাৎ এক জনের মাস্ক অন্য জন ব্যবহার করতে পারবেন না।
  • পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য ২টো করে মাস্ক বানিয়ে নিতে হবে।

কী ভাবে ঘরেই বানাবেন মাস্ক?

  • আপনার মুখের মাপ অনুযায়ী সমান মাপের ২টো করে সুতির কাপড় বা রুমাল নিন। অথবা কাপড়ের যে ব্যাগ হয়, তার টুকরো হলেও চলবে। এ বার কাপড়টাকে গরম জলে অথবা গরম জলে নুন দিয়ে ভাল করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তা হলে জীবাণু চলে যাবে।
  • এ বার সমান মাপের কাপড়ের টুকরো ২টো একটার উপর আর একটা বসিয়ে সেলাই করে নিতে হবে।
  • সেলাই করা হয়ে গেলে এ বার কাপড়ের টুকরোটাতে পরপর ছোট ছোট প্লিট বা ভাঁজ করে নেবেন।
  • এ বার সেই ভাঁজগুলোর দুই পাশ দিয়ে সেলাই করে নেবেন। মাস্ক মোটামুটি তৈরি। শুধু ব্যান্ড লাগানোর অপেক্ষা।
  • এর পরে ২ টুকরো ইলাস্টিক নিয়ে মাস্কটির ভিতরের অংশের ২ পাশ দিয়ে সেলাই করে বসিয়ে দিন। ব্যস, ব্যবহারের জন্য একদম রেডি আপনার মাস্ক।