Tips on How to Make Face Masks at Home!

Home-made masks can be just as effective in preventing the spread of coronavirus. Here is how you can prepare masks out of the fabric by yourself.

Read more in Bengali

নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯)-এর থাবায় কার্যত বিধ্বস্ত গোটা বিশ্বই। থমকে গিয়েছে স্বাভাবিক জনজীবনও। ইতিমধ্যে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়েছে। আর লকডাউন তো চলছেই। এই পরিস্থিতিতে এমনিতেই বাইরে বেরোলে রীতিমতো ধরপাকড়ের মুখে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা প্রয়োজনে বাইরে বেরোচ্ছেন, তাঁদের জন্যও প্রচুর বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে মাস্ক পরার বিষয়টা নিয়ে একটা সংশয় ছিল। এ বার সেটাই স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, বাইরে গেলে সকলকেই মাস্ক পরতেই হবে। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যাঁরা বাস করেন, তাঁরা বাইরে বেরোলে মাস্ক পরতেই হবে বলে জোর দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

শুধু তা-ই নয়, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, ওড়িশার মতো রাজ্যে মাস্ক পরার উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে জানানো হয়েছিল, বাইরে মাস্ক ছাড়া কাউকে দেখা গেলে তাঁকে শাস্তির মুখেও পড়তে হবে। এ বার সেই পথে হাঁটল আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গও। রবিবার এক নির্দেশিকায় নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, রাস্তায় বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। আর না পরলে শাস্তি পেতে হবে। করোনা সংক্রমণ রুখতে রাস্তায় বেরোলে নাক-মুখ ঢাকতে হবে। মাস্ক না থাকলে বড় রুমাল বা ওড়না ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

কিন্তু আপনার নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে যে, এখন মাস্ক কোথায় পাবেন। সব ওষুধের দোকানেই প্রায় আউট অফ স্টক। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ঘরে তৈরি মাস্ক হলেও চলবে। জেনে নিন, মাস্কের বিষয়ে নয়া নির্দেশিকা আর বাড়িতে কী ভাবে মাস্ক বানাবেন।

পুরনো নির্দেশিকায় যা বলা হয়েছিল:

  • যাঁরা কোভিড ১৯ এবং কোনও রকম সংক্রমণ (জ্বর, সর্দি, কাশি)-এ আক্রান্ত, তাঁরা মাস্ক পরবেন।
  • মাস্ক ব্যবহার করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
  • সুস্থ মানুষের মাস্ক ব্যবহারের কোনও প্রয়োজন নেই।

যে হেতু আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাই তড়িঘড়ি নির্দেশিকায় বদল এনেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যাতে গোষ্ঠী সংক্রমণ বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন এড়ানো যায়। অথচ মাস্ক বাজারে সে ভাবে মিলছে না, আর মিললেও দাম প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। তাই ঘরে তৈরি কাপড়ের মাস্কই ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কী বলছে নয়া নির্দেশিকা?

  • এ বার থেকে বাইরে বেরোলেই মাস্ক পরা মাস্ট।
  • সার্জিক্যাল মাস্ক না হলেও চলবে, ঘরে তৈরি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কারণ কাপড়ের মাস্ক আরামদায়কও বটে।
  • পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাস্ক পরলেও চলবে। অর্থাৎ এমন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, যা প্রতি বার ব্যবহারের পরেই ভাল করে কেচে রোদে শুকিয়ে নেওয়া যাবে।
  • পরিবারের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা মাস্ক। অর্থাৎ এক জনের মাস্ক অন্য জন ব্যবহার করতে পারবেন না।
  • পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য ২টো করে মাস্ক বানিয়ে নিতে হবে।

কী ভাবে ঘরেই বানাবেন মাস্ক?

  • আপনার মুখের মাপ অনুযায়ী সমান মাপের ২টো করে সুতির কাপড় বা রুমাল নিন। অথবা কাপড়ের যে ব্যাগ হয়, তার টুকরো হলেও চলবে। এ বার কাপড়টাকে গরম জলে অথবা গরম জলে নুন দিয়ে ভাল করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তা হলে জীবাণু চলে যাবে।
  • এ বার সমান মাপের কাপড়ের টুকরো ২টো একটার উপর আর একটা বসিয়ে সেলাই করে নিতে হবে।
  • সেলাই করা হয়ে গেলে এ বার কাপড়ের টুকরোটাতে পরপর ছোট ছোট প্লিট বা ভাঁজ করে নেবেন।
  • এ বার সেই ভাঁজগুলোর দুই পাশ দিয়ে সেলাই করে নেবেন। মাস্ক মোটামুটি তৈরি। শুধু ব্যান্ড লাগানোর অপেক্ষা।
  • এর পরে ২ টুকরো ইলাস্টিক নিয়ে মাস্কটির ভিতরের অংশের ২ পাশ দিয়ে সেলাই করে বসিয়ে দিন। ব্যস, ব্যবহারের জন্য একদম রেডি আপনার মাস্ক।