10 Common Misconceptions about IVF

If you’re planning on going for IVF, you must be well aware of the procedure. Here are the ten most common IVF misconceptions dispelled by facts.

Read more in Bengali

এখন প্রায় প্রত্যেকেই যেন একটা ইঁদুর দৌড়ে সামিল! ব্যস্ত জীবন, কেরিয়ারের চাপ তো আছেই। আর তার সঙ্গে বিলাসবহুল জীবনযাপনেও আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। যার ফলে কমবেশি সকলেই নানাবিধ লাইফস্টাইল ডিজিজে আক্রান্ত। যার মধ্যে অন্যতম হল বন্ধ্যাত্ব। আর এই ‘বন্ধ্যাত্ব’ শব্দটা শুনলেই এখনও অনেকের মাথাতেই যেন বাজ পড়ে! তাঁরা মনে করেন, যে সব দম্পতি এই সমস্যার সম্মুখীন, তাঁরা আর বাবা-মা হতে পারবেন না। সবার প্রথমে তাঁদের বলি, এটা একেবারেই ভুল ধারণা।


বন্ধ্যাত্বের সমস্যা পেরিয়ে অনেক মহিলাই সন্তানসুখ পেয়েছেন। আর বহু ক্ষেত্রে সেটা আইভিএফ-এর হাত ধরেই সম্ভব হয়েছে। কিন্তু মুশকিলটা হল, এই আইভিএফ শব্দটা শুনেও অনেকে কেমন পিছিয়ে যান। আসলে তাঁদের মনে এই আইভিএফ পদ্ধতি নিয়ে কিছু চালু ধারণা রয়ে গিয়েছে। যেগুলো একেবারেই অযৌক্তিক। আইভিএফ নিয়ে প্রচার সত্ত্বেও সেই ধারণাগুলো দূর হয়নি! তাই অনেক মহিলাই বন্ধ্যাত্বের সমস্যার সম্মুখীন হলেও আইভিএফের জন্য চট করে সায় দিতে পারেন না।


সকলেরই আইভিএফ সংক্রান্ত একটা জরুরি তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন। সেটা হল- সাধারণত যে সব দম্পতি অনেক চেষ্টার পরেও স্বাভাবিক ভাবে যখন সন্তানের জন্ম দিতে পারেন না, তখন বুঝতে হবে তাদের বন্ধ্যাত্ব সম্পর্কিত কোনও সমস্যা রয়েছে। প্রথমে বন্ধ্যাত্বের কারণ খুঁজে বার করবেন চিকিৎসক। তার পর তার চিকিৎসা শুরু হবে। এমন নয় যে বন্ধ্যাত্ব সম্পর্কিত সমস্যা হলেই আইভিএফ করা হবে। প্রাথমিক ভাবে ওষুধের মাধ্যমেই চিকিৎসা করা হয়। তার পরেও যদি সন্তান না আসে, তখন ডাক্তাররা আইভিএফ-এর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

আসুন জেনে নিই, আইভিএফ সংক্রান্ত ভুল এবং অর্ধসত্য ধারণাগুলি। যাতে সেগুলো নিয়ে মনে আর কোনও সংশয় না থাকে!

ভুল: অনেকেই মনে করেন, আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সব ক্ষেত্রে নিশ্চিত ভাবে সন্তানলাভ সম্ভব।

ঠিক: আইভিএফ পদ্ধতিতে সফল ভাবে সন্তান পেয়েছেন ৫০ শতাংশেরও কম দম্পতি।

ভুল: সাধারণত আইভিএফ পদ্ধতিতে যে শিশুদের জন্ম হয়, তাদের টেস্ট টিউব বেবি বলা হয়। আর এই শব্দটা নিয়েই যত সংশয়! অনেকেই ভেবে বসেন যে, টেস্ট টিউব বেবি টেস্ট টিউবের মাধ্যমে হয়।

ঠিক: টেস্ট টিউব বেবি কৃত্রিম উপায়ে জন্ম দেওয়া কোনও শিশু নয়। টেস্ট টিউব মূলত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। নিষিক্তকরণের প্রক্রিয়াটি হয় পেট্রিডিশে।

ভুল: আইভিএফ পদ্ধতিতে যে কোনও বয়সেই সন্তান জন্ম দেওয়া যেতে পারে।

ঠিক: আইভিএফ পদ্ধতির ক্ষেত্রেও মায়ের বয়সটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসলে বয়স যত বাড়তে থাকে, মহিলাদের সন্তানধারণ ক্ষমতা তত কমতে থাকে। ফলে বুঝতেই পারছেন, আইভিএফ-এর ক্ষেত্রেও বয়স যত কম হবে, গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি থাকবে।

ভুল: আইভিএফ-এর মাধ্যমে সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে, সেটা বেছে নেওয়া যেতে পারে।

ঠিক: মনে রাখবেন, আমাদের দেশে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

ভুল: কেউ কেউ মনে করেন, আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সব সময়ই একের বেশি বাচ্চা জন্ম নিতে পারে। সব ক্ষেত্রে এটা ঠিক নয়।

ঠিক: ডাক্তারেরা ঝুঁকি কমাতে ১টি-র বদলে ২-৩টি ভ্রূণ স্থাপন করেন, যেন অন্তত ১টি ভ্রূণ টিকে যায়! ফলে একের বেশি বাচ্চা হতেই পারে।

ভুল: আইভিএফ নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা ধারণা রয়েছে যে, এই পদ্ধতি বন্ধ্যাত্ব সংক্রান্ত সব রকম সমস্যা দূর করতে পারে।

ঠিক: আসলে আইভিএফ পদ্ধতির সাফল্যের হার অনেকাংশেই নির্ভর করে বন্ধ্যাত্বের কারণের উপর।

ভুল: অনেকেরই আশঙ্কা থাকে যে, আইভিএফ-এর জন্য শরীর থেকে সব ডিম্বাণু তুলে নেওয়া হয়।

ঠিক: আইভিএফ করা হলে শরীরের সব ডিম্বাণু শেষ হয়ে যায় না।

ভুল: আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্ম নেওয়া শিশুরা অসুস্থ হয়। নানা রকম রোগে ভোগে।

ঠিক: যে হেতু সব চেয়ে শক্তিশালী ভ্রূণটিকে জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়, তাই স্বাস্থ্যবান শিশুরই জন্ম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে স্বাভাবিক উপায়ে সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে যেমন সন্তানের জন্মগত সমস্যার আশঙ্কা থাকে, আইভিএফ-এর ক্ষেত্রেও সেটা সমানই।

ভুল: আইভিএফ পদ্ধতিতে যারা জন্ম নেয়, অর্থাৎ টেস্ট টিউব বেবিরা সন্তানের জন্ম দিতে পারে না।

ঠিক: বংশগত কারণে যদি টেস্ট টিউব বেবির প্রজনন ক্ষমতা কম থাকে, তা হলে তাকেও আইভিএফ-এর সাহায্য নিতে হতে পারে।

ভুল: আইভিএফ-এর পুরো প্রক্রিয়া যন্ত্রণাদায়ক।

ঠিক:এই কথাটা আংশিক সত্য। কারণ আইভিএফ-এর ক্ষেত্রে ডিম্বাণু সংগ্রহ করতে যে ছিদ্র করা হয়, তার জন্যই কেবল ব্যথা হয়। যদিও খুব সরু ছুঁচ দিয়ে কাজটা করা হয়। তবে জরায়ুতে ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি ব্যথামুক্ত। ফলে বুঝতেই পারছেন, আইভিএফ-এর পুরো প্রক্রিয়াটা যন্ত্রণাদায়ক নয়।