Preparing for pregnancy when you have diabetes!

Diabetes and pregnancy doesn’t have to be a risky combination. You might just need to make some healthy changes or seek treatment before you get pregnant.

Read more in Bengali

যেসব ডায়াবেটিক নারী সন্তান ধারণ করতে ইচ্ছুক, তাঁদের জন্য প্রয়োজন অতিরিক্ত সতর্কতা ও সঠিক পূর্বপ্রস্তুতি। ডায়াবেটিসজনিত বিভিন্ন জটিলতা যেমন রেটিনা-কিডনি-স্নায়ু-রক্তনালির রোগ গর্ভকালীন জটিলতর হতে পারে। যাঁদের শর্করা নিয়ন্ত্রিত নয়, তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন গর্ভকালীন জটিলতার ঝুঁকি বেশি। যেমন: গর্ভপাত, প্রি- একলাম্পসিয়া, মেয়াদের আগেই প্রসব ইত্যাদি। মায়ের রক্তে উচ্চ শর্করা গর্ভের শিশুর বিভিন্ন ক্ষতি ঘটাতে পারে, যেমন: গর্ভে মৃত্যু, বিকলাঙ্গতা, স্থূলতা, প্রসবকালীন বিভিন্ন আঘাত ইত্যাদি।

ডায়াবেটিস থাকলে কি ফার্টিলিটি চিকিৎসার সমস্যা হ্রাস পায়?

  • পুরুষদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস থাকলেও স্পার্ম উৎপাদনের সমস্যা খুব একটা সাধারণ নয় কিন্তু স্পার্মগুলির ডিএনএ ডিফেক্ট থাকতে পারে
  • কিছু ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্ব বা মিসক্যারেজের সম্ভাবনা রয়েই যায় কিন্তু তার মানে এই নয় যে ডায়াবেটিস থাকলেই হবু মায়েদের কমপ্লিকেশন হবে
  • মনে রাখবেন যে ডায়াবেটিস থাকলেও যদি আগে থেকে ব্লাডসুগার কন্ট্রোল করে, ফলিক অ্যাসিড খান তাহলে বেশ কিছু কমপ্লিকেশন এড়ানো যেতে পারে

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীর গর্ভধারণের প্রস্তুতি কমপক্ষে তিন মাস আগে শুরু করা জরুরি।

  • মানসিক প্রস্তুতি
    সন্তান ধারণের পরিকল্পনার সময়ই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মা এবং তাঁর পরিবারের জেনে নেওয়া উচিত কীভাবে ডায়াবেটিস ও গর্ভধারণ একে অপরকে প্রভাবিত করে, কী জটিলতা হতে পারে এবং সেগুলির প্রতিকারের উপায়।
  • সঠিক খাদ্যাভ্যাস
    সন্তান ধারণের আগে থেকেই শর্করা নিয়ন্ত্রণে সুষম কিন্তু পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে পুষ্টিবিদের সাহায্য নিন। গর্ভধারণ পরিকল্পনার শুরু থেকে গর্ভকালীন ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিদিন ৫ মিলিগ্রাম ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট সেবন করুন, যা শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের জটিলতা প্রতিরোধে উপকারী। রক্তশূন্যতা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • সঠিক ওজন
    গর্ভকালীন বিভিন্ন জটিলতা এড়াতে সঠিক ওজনে থাকা জরুরি।
  • শর্করা নিয়ন্ত্রণ
    বাড়িতে নিয়মিত খাওয়ার আগে ও দুই ঘণ্টা পর রক্তের শর্করা মাপুন এবং এগুলো যথাক্রমে ৬ দশমিক ৫ এবং ৮ দশমিক ৫-এর নিচে রাখুন। শর্করার সঠিক মাত্রা অর্জন করতে গর্ভধারণের তিন মাস আগে থেকে মুখে খাওয়ার ওষুধ পরিবর্তন করে ইনসুলিন ব্যবহার শুরু করুন।
  • আনুষঙ্গিক ওষুধ
    যদি আপনি উচ্চরক্তচাপে ভোগেন, তবে গর্ভধারণের আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ এবং জীবনধারার পরিবর্তনে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। গর্ভধারণের সময় রক্তে চর্বি বা কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ খাওয়া যাবে না।
  • ডায়াবেটিসজনিত বিভিন্ন জটিলতা
    গর্ভধারণের আগে ডায়াবেটিসজনিত রেটিনার জটিলতা, কিডনি জটিলতা, বিভিন্ন রক্তনালির রোগ আছে কি না, তা শনাক্ত করে প্রয়োজনে চিকিৎসা নিন। গর্ভকালীন অবস্থায় এসব বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। অ্যালকহল আর ধূমপান থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন।